সমস্ত লেখাগুলি

সাম্প্রদায়িকতার বিষ -
শীলা মোস্তাফা
Nov. 18, 2024 | সাম্প্রদায়িকতা | views:662 | likes:0 | share: 0 | comments:0

কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেছিলেন “জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন” আসলে পুরোনো শকুন বলে কিছু নেই। সেই শকুনেরা আমাদের মাঝেই বাস করে। আর সেই শকুনদের দুধকলা দিয়ে পোষেন সরকার। সেই শকুনদের হৃষ্টপুষ্ট রাখতে সরকারী টাকায় মসজিদ তৈরি হয়, তাদের আদর্শের ধারক বাহক তৈরির জন্য হাজার হাজার মাদ্রাসা তৈরি হয় যেখানে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নেই, নেই জাতীয় সঙ্গীত, নেই ধর্ম নিরপেক্ষতা, নেই অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা।


বাংলার মাটিতে বাংলার মুসলমানরা বার বার প্রমাণ করেছে ইসলাম শান্তির ধর্ম নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অর্থ বোঝার মত শিক্ষায় শিক্ষিত নয় তারা। এরা যেই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত সেখানে মূলমন্ত্র “জেহাদ” “বিধর্মী” আর তার সাথে সমাধান “বেহেস্ত”। তাদের মগজ এই তিন শব্দের কাছে জিম্মি। তাই পৃথিবীর শান্তি, প্রতিবেশীর শান্তি, রক্তমাংসের মানুষের জীবন তাদের কাছে মূল্যবান নয় । ইসলাম যে অসহনশীল, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গির ধর্ম এটা বার বার প্রমাণ হয়েছে। ইসলামে শান্তির সংজ্ঞা হচ্ছে অন্য মত অন্য ধর্মের মানুষকে খুন, ধর্ষণ, হত্যা করা। আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা।


কোরান ত্রিপিটক, রামায়ণ, বেদ সে তো শুধু পুস্তক। তার অবমাননা হয় না, আকাশ উড়ালেও না, আগুনে পোড়ালে না। অবমাননা হয় তখন যখন ওই পুস্তকে যা লেখা সেটা তার অনুসারী ধার্মিক যদি ধারণ করতে না পারে। তুমি ধর্ম পালন করবে, নামাজ পড়ে কপালে দাগ করে ফেলবে কিন্তু মানুষ নামে রক্তেমাংসে গড়া মানুষকে অবমাননা করবে, তার বেলা…? আর কত চলবে এই অনাচার? আর কত চলবে হিন্দুর বাড়ীতে আগুন দিয়ে দখলদারি, আর কত চলবে পূজার মূর্তি ভাঙ্গা, কত হিন্দু শিশু ধর্ষিত হবে? আর কত চলবে ভয়ভীতি দিয়ে তৈরি করে বাংলাদেশকে বৃহত্তর পাকিস্তানি তালেবানী রাষ্ট্র তৈরি করা?

সরকারের কোন দায় নেই এর পেছনে? উন্নয়ন কি শুধু বড় বড় অট্টালিকা, ব্রিজ, পদ্মা সেতু? শুধু দেশের কাঠামোগত উন্নয়ন হলেই কি দেশের উন্নয়ন হবে? কেন মাদ্রাসাগুলোকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে না? কেন সরকারের টাকায় মসজিদ আর মাদ্রাসা তৈরি করে তাতে এইসব জঙ্গি লালন করা হচ্ছে? কেন কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না এই নপুংসকদের? এই সরকারের দরকার ভোট, না না কি বললাম ভোটের তো দরকার নেই। জনগণের জন্য ভাবার কোন দরকার নেই। যাদের দরকার তাদের তো কুক্ষিগত করা আছে, তারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ, সংবাদ মাধ্যম, প্রচার মাধ্যম। হেফাজতের হেফাজতকারি সরকারের জন্য জনগণের প্রয়োজন নেই, মৌলবাদের প্রজনন চলুক। এই সরকারের মুখে মুখে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” অন্তরে “মদিনা সনদ”। এই নিয়ে দেশে আর যাই হোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করা যাবে না।

তবুও মানুষ জাগবে

শুনে রাখো

তুমি তোমরা যতবার ধ্বংস করবে

আমরা ততবার সেই আগুন থেকে বেরিয়ে আসব,

যতবার গলা টিপে ধরবে ততবার

তারও অধিক চিৎকার হয়ে ফিরে আসব।

এ মাটিতে ঈদ মহরামের মত শারদীয় দুর্গোৎসব হবে,

বড়দিন পালন হবে, হবে মানবতা জয়গান।


মসজিদে আজান হবে, মন্দিরে ঘণ্টা বাজবে।

যদি অধিকার থাকে ঈদ মহরমের

অধিকার থাকবে পূজা পার্বণ কিংবা

শুধুই মানবতার।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86933